মোবাইল ফোনে ভুল নম্বরে পরিচয়। প্রথমে বোন ডেকে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে ধীরে ধীরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে সম্পর্ক বাড়তে থাকে। কিন্তু অপহরণের পরিকল্পনাও থেমে থাকে না। অবশেষে গত ১৯ মে বেড়াতে এসে বাড়ির শিশু কন্যাকে অপহরণ করে রুবেল হোসেন। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, অপহৃত শিশুর নাম চাঁদনী। সে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের কবিরাজ বাড়ির ফোরকান হোসেনের একমাত্র কন্যা সন্তান। অপহরণের চার দিন পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় অপহরণকারী রুবেল হোসেনকেও।
শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ রুবেল হোসেনকে চাঁদপুর আদলতে প্রেরণ করলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আরও জানা গেছে, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আলমগীর হোসেনের প্রচেষ্টা ও মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার লক্ষীপুর রামগতি কমলনগর থানার কালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট আকবর মৃধার বাড়ি থেকে শিশু চাঁদনীকে উদ্ধার করা হয়। একই দিন রাতেই কমলনগর থানা পুলিশ অপহরণকারী রুবেল হোসেনকে (৩০) আটক করে। পরে তাকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অপহরণকারী রুবেল হোসেনের সাথে শিশু চাঁদনীর দাদী ও ফুফুর সাথে মোবাইলে পরিচয় হয়। গত ২০ মে রুবেল হোসেন বেড়াতে এসে সু-কৌশলে চাঁদনীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
হবিগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পাচারকারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে সিডিআর অ্যানালাইসিস ও মোবাইল ট্রেকিং করে পাচারকারীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। পরে লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার পুলিশের সহযোগিতায় মতিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আজাদের মাধ্যমে মতিরহাট গ্রামের মৃধা বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে অপহরণকারী রুবেল হোসেনকেও আটক করা হয়।’
শিশুর বাবা ফোরকান হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশি। ওসি আলমগীর হোসেনের আন্তরিকতা ও এসএম মিরাজ মুন্সী ভাইয়ের প্রচেষ্টায় আমার মেয়েকে দ্রুত ফিরে পেয়েছি।’