বান্দরবানে অপহরণের তিনদিন পর আওয়ামী লীগের পৌর কমিটির সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে অপহরণের তিনদিন পর রাজবিলা ইউনিয়নের জর্দান পাড়া পাহাড়ের জঙ্গল থকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের দুর্গম জর্দান পাড়া পাহাড়ের জঙ্গলে শনিবার সকালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জঙ্গলে পড়ে থাকা মরদেহটি অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কমিটির সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমার বলে সনাক্ত করেছে তার পরিবার। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত চথোই মং মারমার ছেলে থোয়াই থোয়াই হ্লা মারমা বলেন, ‘মরদেহটি আমার বাবার। গত বুধবার (২২ মে) রাতে উজিপাড়া থেকে অস্ত্রেরমুখে তাকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। আজ বাবার লাশ পাওয়া গেছে। কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এখনো জানি না।’
পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘অপহরণের পর আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাহাড়ে জঙ্গলে জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে। গ্রামের পাহাড়ি লোকজনরাও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছিলেন। চারদিনের মাথায় শনিবার দুপুরে জর্দান পাড়া জঙ্গলে অপহৃতের লাশ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অপহৃত পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমার মরদেহ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীরা হত্যার পর মরদেহটি জঙ্গলে ফেলে গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (২৬ মে) সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে।’
এদিকে অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতিকে সমিতি (জেএসএস) দায়ী করছে। তবে জনসংহতি সমিতির জেলা সভাপতি উছোমং মারমা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জনসংহতি সমিতি জড়িত নয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’