টানা প্রায় এক মাস ধরে চলে আসা প্রচণ্ড দাবদাহের পর শনিবারের (২৫ মে) বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা বাতাসে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাগেরহাট উপকূলের মানুষের মাঝে। চলতি মাসের প্রথমেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাগেরহাট ও মংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল প্রচণ্ড তাপদাহ।
প্রায় মাসখানেক সময় ধরেই এ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ থেকে ৩৮ ডি: সে: পর্যন্ত। দাবদাহে রমজান মাসে চরম কষ্টে পড়ে রোজাদার মুসল্লিসহ সাধারণ লোকজন। বৃষ্টির জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়াও করেন ইমাম ও মুসল্লিরা।
রমজানের দাবদাহের মধ্যে এই প্রথম শনিবার সকালের বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমেছে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে। মংলা বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে বেশ স্বস্তি লাগছে। অন্যান্য দিনে মসজিদে এসি ও ফ্যান চালানোর পরও গরমের ভাব থাকতো। আর শনিবার জোহরের নামাজে এসি ছাড়াই মুসল্লিরা শান্তিতে নামাজ আদায় করতে পেরেছে।’
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে মংলা সমুদ্র বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে মংলা বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে শনিবারের ঝড়ে বাগেরহাটের সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ও ডেমা ইউনিয়নের কাঁচা-আধা পাকা ঘরবাড়ি ও গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাড়াপাড়ার দক্ষিণপাড়া, পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া, মির্জাপুর, গুজিহাটি ও পিসি ডেমা এলাকার প্রয় অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও প্রায় শতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর মো: দিদারুল আলম।