ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভাংনামারী ইউনিয়নের বয়রাঘাট এলাকায় খালের ওপর নির্মিত সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। সেতুর এক প্রান্তের পিলার ভেঙে ধসে পড়ায় মাটি সরে গেছে। অপর প্রান্তের পিলারের অবস্থাও নড়বড়ে। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা যাতায়াত করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুর নিচে খালের মাটি খনন করায় পিলারের অংশের মাটি সরে গেছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ট্রাকগুলো নিয়মিত এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের কারণে এই বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অচিরেই সেতুটি সংস্কার করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে তা ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এলাকাবাসীর।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর পূর্বে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে ভাংনামারীর বয়রাঘাট খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করে।
কিন্তু সম্প্রতি সেতুটি দিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় এর কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। গত দুই সপ্তাহ আগে সেতুটির এক প্রান্তের পিলার ধসে পড়ে। অপরপ্রান্তের পিলারের অবস্থাও নড়বড়ে। এছাড়া সরে গেছে সংযোগ সড়কের মাটি। এতে যেকোনো মুহূর্তে সড়কটি ধসে পড়তে পারে।
ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অবৈধ বালুবাহী ওই ট্রাক চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সেতু সংস্কারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আমরা।’
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ ওয়াহীদুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একযুগ আগে এডিপির অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। শুনেছি ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে সেতুটির বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ যোগাযোগ করলে আমরা সেতুটি সংস্কার করে দেব।’