ভোলায় ছোট ছোট উপদ্বীপগুলোর ভাঙন এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার ৬টি বিচ্ছিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম মেঘনা এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এসব এলাকার ভাঙন রোধে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিন দিন ছোট হয়ে আসছে মনপুরা। ভাঙন রোধে কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে মনপুরাকে রক্ষার কাজ চলছে। তবে এখনো রামনেওয়াজ, চর জ্ঞান, দাসকান্দি, বাঁধের হাট, মাস্টারের হাট, সূর্যমুখী ও তালতলাসহ বহু গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার ভাঙন বন্ধে দ্রুত প্রকল্প চায় আতঙ্কে থাকা মনপুরার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বার্তা২৪.কমের এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় মনপুরার সাকুচিয়ার ক্রসড্যাম এলাকার বাঁধের পাড়ে থাকা জয়নব বিবির। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পোলাপাইন লইয়া অনেক কষ্টে এই বাঁধের উপরে থাকতাছি। এক সময় সব আছিল, কিন্তু এহন কিছুই নাই।’
স্থানীয় সাকুচিয়ার মাইনুদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই মনপুরার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙছে। তবে কিছু কিছু স্থানে নদীর গভীরে বোল্ডার (ব্লক) ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। আমাদের সাকুচিয়া এলাকায় যেন বোল্ডার (ব্লক) ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়।’
মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর জানান, মনপুরায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ব্লক দেয়ার কারণে উত্তর মাথা দিয়ে ভাঙন বন্ধ হয়েছে। তবে পূর্ব এবং পশ্চিম পাশ দিয়ে নদী ভাঙছে। এসব এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ দরকার। তাহলে সমগ্র মনপুরায় ভাঙন বন্ধ হবে।