পটুয়াখালী শহরে মিলছে তরমুজ। তবে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। আর এক্ষেত্রে ২৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো তরমুজ। অপরদিকে শহরের বাজারগুলোতে মৌসুমি ফল জাম উঠতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি জামের দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ টাকা করে।
দেশীয় ফলের এই উচ্চ দামে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছেন। সাধ আর সাধ্যের মিল না করতে পেরে অনেকেই অন্যান্য ফল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পটুয়াখালী সদর রোডের ফল বিক্রেতা ফরিদ মুন্সি বার্তা২৪.কমকে জানান, এ মৌসুমে এই অঞ্চলে তরমুজ পাওয়া যায় না। নাটোর থেকে আনা তরমুজ পটুয়াখালী শহরের নিউ মার্কেট থেকে পাইকারি দামে কিনেছেন। তিনি যেমন কেজি হিসেবে কিনেছেন, তেমনি কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন।
এদিকে, রমজান উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে ফলের দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে । অভিযোগ রয়েছে ফল বিক্রেতাদের একটি সিন্ডিকেট হঠাৎ করে ফলের দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
তবে পটুয়াখালী শহরের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতী। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কোনো ফল কিংবা সবজি এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম চাইলে সরাসরি উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। অভিযোগ পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করা হবে।’