আসছে ঈদ জমছে বাজার

, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-24 03:14:05

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে ঈদ বাজার। দেশি-বিদেশি পোশাকের মধ্য থেকে পছন্দের পোশাকটি কিনতে দোকানে দোকানে  ও বিপণিবিতানে ছুটছেন ক্রেতারা।

দাম বেশি  হলেও অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে সব কিছু কিনতে পেরে খুশি।  কুষ্টিয়ার ফুটপাতসহ অভিজাত বিপণিবিতানেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। জুতা, মনোহরি ও প্রসাধন সামগ্রীর দোকানগুলোতেও ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সমান ভিড় রয়েছে থান কাপড়ের দোকানে। পছন্দের কাপড় দিয়ে সুন্দর ডিজাইন দিয়ে পোশাক তৈরি করতে তাই ভিড় শহরের টেইলার্সগুলোতে। তবে ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেশি থাকায় এখন আর পোশাক তৈরির অর্ডার নিচ্ছেন না দরজিরা।

কুষ্টিয়া শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট, পরিমল টাওয়ার, লাভলী টাওয়ারসহ এন এস রোড ও শহরের অলি-গলিতে পুরোদমে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা।

এন এস রোড এর অঙ্গশোভা’র স্বত্বাধিকারী বাদশা শেঠ জানান, থ্রি পিসসহ বিভিন্ন ধরনের থান কাপড় এবার বেশি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পাঞ্জাবির কাপড় বিক্রি করেছি।

পরিমল টাওয়ার এর কালার্স ভিউ এর স্বত্বাধিকারী শাহরিয়ার ইমন রুবেল বলেন, এবারের ঈদে ঘাড়ারা, গাউন, ইন্ডিয়ান কাতান এর চাহিদা বেশি। ঘাড়ারা পোষাক আড়াই হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইব্রাহিম প্লাজার শিল্পী টেইলার্সের মালিক কিরণ মাহমুদ জানান, তরুণী ও নারীদের পোশাক তৈরি করে থাকি। ১৫ রোজা থেকে আমরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এবার বিপুল পরিমাণ অর্ডার পেয়েছি।

শুধু বিপণিবিতানেই নয়, প্রিয়জনের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের অনেকেই ভিড় করছেন শহরের মার্কেটগুলোতে।

পিছিয়ে নেই ফুটপাতের কেনাবেচা শহরের ফুটপাতেই বসে বড় ঈদের বাজার। যা ধনীদের জন্য না হলেও, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে।

টাকা না থাকায় আলোঝলমল বিপণিবিতানে যেতে না পারার দুঃখ ভোলেন এই ফুটপাত থেকেই নতুন জামা-কাপড় কিনে।

মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের আসাদুল ইসলাম তিনি স্ত্রী আর সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে শপিং করছেন।  তিনি বাবার জন্য পাঞ্জাবি, মায়ের জন্য শাড়ি, স্ত্রীর জন্য শাড়ি ও থ্রি-পিস এবং মেয়ের জন্য জামাসহ মানানসই জুতাও কিনেছেন। তবে গতবারের থেকে দামটা একটু বেশি নিয়েছে বলেও জানান আসাদুল ইসলাম ।

সাজিদ ফ্যাশন থেকে জিন্স প্যান্ট এবং পাঞ্জাবি কিনেছেন জিসান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমার প্রথম চয়েস পাঞ্জাবির সঙ্গে জিন্স প্যান্ট। দামে বেশ সাশ্রয়ী তাই আমরা কয়েক বন্ধু এখান থেকে ঝটপট কিনে ফেলেছি।

নীডস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল বলেন, আমার কারখানায় ২০ জন শ্রমিক নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ১৫ রোজা থেকেই আমরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

এদিকে, ঈদের আর মাত্র ১০ দিন বাকি থাকতে জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার ফুটপাতের ঈদ বাজার। এখন ফুটপাত শুধু বিক্রেতাদের না ক্রেতাদেরও দখলে।

শহরের এন এস রোডের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বেশকিছু ফুটপাতের দোকান গড়ে উঠেছে।

এ দোকানগুলোতে নানা রঙ-ঢঙের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেই পোশাক কিনতে ক্রেতা-বিক্রেতার দামাদামিতে সকাল থেকে মধ্যরাত সব সময় সরগরম থাকছে। ফুটপাত বলে পণ্যের মান খারাপ তা কিন্তু নয়। একটু দেখেশুনে যাচাই ও দরদাম করে কিনতে পারলে এখানেও অনেক ভালো মানের পণ্য পাওয়া যাবে বলে জানান ক্রেতারা।

এদিকে, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের নির্দেশে শহরের পরিমল শপিং কমপ্লেক্স, লাভলী টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটসহ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে। নিরাপদ, এবং নির্বিঘ্নে কেনাকাটার লক্ষ্যে টহল পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি রেখেছে পুলিশ প্রশাসন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর