পঞ্চগড়ে বাসের ফিরতি টিকিটে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

পঞ্চগড়, দেশের খবর

মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড় | 2023-08-21 06:03:40

ঈদের বাকি আরও কয়েক দিন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ঈদের আমেজ ততই বাড়ছে। জীবিকার তাগিদে যারা আপনজনের মায়া ছেড়ে ব্যস্ততম শহর ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন, তারা এখন নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন নিজ গ্রামে। তবে চিন্তা রয়েছে ঢাকায় ফেরা নিয়ে। কিন্তু ফিরতি টিকিটের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বিভিন্ন উপজেলার ঢাকাগামী হানিফ, শ্যামলী, নাবিল, সোনিয়া, খালেক, জিসান এবং লোকাল বাসের বিভিন্ন কাউন্টারে ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। সাধারণ যাত্রীরা বাড়তি দুর্ভোগ রক্ষার্থে অগ্রিম টিকিট বুকিং দিচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কোচের কাউন্টারে ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন বাস সার্ভিসের কাউন্টারগুলোতে টিকিটের নির্ধারিত দামের তুলনায় অধিক টাকা নিচ্ছে কাউন্টারগুলো। ফলে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্ধারিত ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকায় টিকিট সংগ্রহ করছেন সাধারণ যাত্রীরা ।

একই অবস্থা চোখে পড়ে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার হানিফ, নাবিল, শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে। যে যার খেয়াল খুশি মতো টিকিট বিক্রি করছে। হানিফ পরিবহন কাউন্টারে দেবীগঞ্জ -ঢাকা রুটের প্রতি টিকিটের দাম ৭২০ টাকা। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু টিকেটে লেখা থাকে ৭২০ টাকাই।

এ বিষয়ে হানিফ পরিবহনের যাত্রী শহীদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ৭২০ টাকার টিকিট ৯০০টাকা দিয়ে কাটলাম। কম বেশি সব কাউন্টারে একই সমস্যা। বেশি দামে টিকিট কাটতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে এক সংবাদ পত্রের পঞ্চগড় প্রতিনিধি নাজমুস সাকিব মুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে হানিফ পরিবহনে ১৩ তারিখের দু’টি টিকিট ১ হাজার ৮০০ টাকা রাখা হয়েছে। পরে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করলে তিনি ফোর্স পাঠানোর কথা বলে ৪০ মিনিট পরও কোনো ব্যবস্থ গ্রহণ করেননি৷ দ্বিতীয়বার ফোন দিলে তিনি হাতে অনেক কাজ আছে এবং পরে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাবেন বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন। হানিফ পরিবহনের ঢাকা-দেবীগঞ্জ রুটের জেনারেল ম্যানেজার আনিসুর রহমানকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি দু/এক জন যাত্রীর কিছু টাকা ফেরত দিতে বলেন কাউন্টার মাস্টারকে।’

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ হানিফ কাউন্টারের টিকিট মাস্টার সাজু বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না। তবে আমরা কারও কাছে চা-পান খাওয়ার জন্য বকশিশ নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার প্রত্যয় হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কাউন্টারে অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি দেবীগঞ্জ থানায় অবগত করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযান চালানো হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর