পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের জোংড়া এলাকায় গত তিন মাসে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোট ১১ বনদস্যু নিহত হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে বন্দুকযুদ্ধে হাসান বাহিনীর প্রধানসহ চার দস্যু নিহত হন। প্রতিবারই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি।
এর আগে, গত ৬ মে চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর খন্তা-কদাইল্লা খাল এলাকায় রানা বাহিনীর প্রধানসহ তিনজন এবং গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আলিম বাহিনীর প্রধানসহ চারজন বনদস্যু নিহত হয়।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের জোংড়া এলাকায় টহল দিচ্ছিল র্যাব-৮ এর সদস্যরা। বনের ভেতরে লোকজনের আনাগোনা টের পেয়ে র্যাব সদস্যরা বনের ভেতর প্রবেশ করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ চার বনদস্যুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আশপাশের বনজীবীরা মরদেহ দেখে হাসান বাহিনীর প্রধান হাসান ও তার সহযোগী বলে শনাক্ত করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দশটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। দস্যুদের মরাদেহ ও উদ্ধার করা অস্ত্র বুধবার (২৯ মে) দুপুরে খুলনার দাকোপ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চারজন দস্যুর মরদেহ থানায় দিয়ে গেছে র্যাব সদস্যরা। এদের মধ্যে একজন বনদস্যু বাহিনী প্রধান হাসান বলে কাগজে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি তিন জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।’