সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়েছে শতাধিক সন্ত্রাসী। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার ঘটনার সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বাইরে সন্ত্রাসীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে শতাধিক সন্ত্রাসী ওই প্রেসক্লাব ভবনে ঢুকে প্রথমেই সিসিটিভি ক্যামেরার কানেকশন ছিঁড়ে ফেলে। এরপরই তারা লাটি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালিয়ে সাংবাদিকদের মারধর করে। এতে ১০ জন আহত হয়।
হামলায় আহত হন- দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাতবারের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের সাবেক পাঁচবারের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আবদুল জলিল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাতবারের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারীসহ ১০ জন সিনিয়র সাংবাদিক।
এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সব সাংবাদিক। তারা শুক্রবার (৩১ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, ওসি মোন্তাফিজুর রহমান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেসক্লাবে আসেন।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, আহত সাংবাদিকরা মামলা করলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। এ ঘটনার আড়াই মাস পর গত বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। আজ এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।