ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্রান্সফরমারের বুশিং ফেল করে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএমএম সাজ্জাদুর রহমান।
এতে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও বর্তমানে কারখানার নিজস্ব ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিটটি এখনো বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে আগুনের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশুগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের জন্য নতুন একটি ট্রান্সফরমার বিদ্যুত কেন্দ্রের সুইস ইয়ার্ডে বসানো হয়। কাজ শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। ট্রান্সফরমারটির উপরের বুশিং ফেল করার কারণে বিদ্যুৎ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। পরে ট্রান্সফরমারটির ভেতর থেকে তেল বের হয়ে যাওয়ায় কারণে আগুন বেড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সচল পাঁচটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়।
ইউনিটগুলো হল, ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট-৫, ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস ইঞ্জিন ও ১৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট ও ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিসিশন এনার্জি পাওয়ার প্ল্যান্ট।
তবে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিটটি ছাড়া বাকিসবগুলোই চালু করেছে কারখানার নিজস্ব প্রকৌশলীরা।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এমএম সাজ্জাদুর রহমান জানান, বন্ধ হওয়া পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে নিজস্ব প্রকৌশলীরা চারটি চালু করছে। ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিটটি এখনো চালু করা যায়নি। তবে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে এই ইউনিটটিও চালু হয়ে যাবে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কারণে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।