ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২ কিলো ভোল্ট (কেভি) জাতীয় গ্রিড লাইনের সবকটি ইউনিট চালু হয়েছে। যদিও ৩০০ এমবিএ ট্রান্সফরমার স্থাপনের সময় সেখানে আগুনের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে কারখানার নিজস্ব ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট ইউনিটটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে সবকটি ইউনিট চালু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে ট্রান্সফরমারে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে কারখানার পাঁচটি ইউনিটে একযোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সচল পাঁচটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে জাতীয় গ্রিডে ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস পায়।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের জন্য নতুন একটি ট্রান্সফরমার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুইস ইয়ার্ডে বসান হয়। কাজ শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। ট্রান্সফরমারটির উপরের বুশিং ফেল করার কারণে বিদ্যুৎ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
পরে ট্রান্সফরমারটির ভেতর থেকে তেল বের হয়ে যাওয়ায় কারণে আগুন বেড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সচল পাঁচটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ ইউনিটগুলো হল- ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট, ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট-৫, ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস ইঞ্জিন ও ১৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট ও ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সম্পন্ন এনার্জি পাওয়ার প্লান্ট। পরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব প্রকৌশলীরা কাজ করে বন্ধ হওয়া ইউনিটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করছেন।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ এমএম সাজ্জাদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, বন্ধ হওয়া পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই নিজস্ব প্রকৌশলীরা ৪টি ইউনিট চালু করছে। ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট ইউনিটটি মেরামত শেষে শুক্রবার সকালে চালু করা হয়। বর্তমানে কারখানার সবকটি ইউনিট চালু রয়েছে।
তবে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।