কক্সবাজারের হোটেল কক্ষের ৭০ ভাগ অগ্রিম বুকিং

কক্সবাজার, দেশের খবর

মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2023-08-30 17:09:18

এবারের ঈদ উৎসবে কক্সবাজারে আগমন করবে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক। এসব ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি প্রতিরোধ করতে আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে পর্যটক হয়রানি রোধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে পর্যটন নগরীর চার শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৭০ ভাগ কক্ষ। এবারের ঈদে ব্যাপক সাড়া পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতরে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের প্রতারণার স্বীকার না হয়, সেদিকে নজর রাখতে সব সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনে কক্ষ ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়, রুম না পাওয়া, টিকিট কাটার পরও বাস না পাওয়া, রেস্টুরেন্টগুলোতে অতিরিক্ত দামে খাবার বিক্রি, পঁচা বাসি খাবার পরিবেশন, দোকানদার কর্তৃক পর্যটকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ফটোগ্রাফার-সিএনজি চালক কর্তৃক হয়রানি রোধে এ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।

সূত্রে আরও জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে তথ্য কেন্দ্র (ইনবক্স)। যে কোনো অভিযোগ এখানে করতে পারবে পর্যটকরা। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে একটি হটলাইন নম্বর (০১৭৩৩৩৭৩১২৭)।

হোটেল সি উত্তরার ম্যানেজার নাছির উদ্দিন মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৭০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। বিশেষ করে ৭-৮ তারিখের দিকে বুকিংটা বেশি। আশা করছি বাকি দিনগুলোতেও ভালো বুকিং পাওয়া যাবে।’

হোটেল দি কক্সটুডের পরিচালক আবু তালেব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদে আগাম বুকিং হয়েছে ৭০ ভাগ কক্ষ। আরও বুকিং আশা করছি।’

কলাতলী-মেরিনড্রাইভের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পর্যটকরা সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, ইনানী, হিমছড়িসহ ছয়টি পয়েন্ট ছাড়াও ভ্রমণ করবেন, দরিয়ানগর, হিমছড়ি ঝরনা, রামুর বৌদ্ধ বিহার, রেডিয়েন্ট ফিশ ওর্য়াল্ড, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়াসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। আর এসব পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আগাম সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বেশিরভাগ হোটেলের ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতে আরও হবে।’

জেলা প্রশাসন বলছে, ঈদে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিচ কর্মীরা। পাশাপাশি নিয়োজিত থাকবে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্বনয়ে গঠিত একটি টিম।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সাইফুল ইসলাম জয় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সৈকতের ১১ টি পয়েন্টে বিচ কর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ সন্বনয়ে কাজ করছে। কিছু পয়েন্ট চিহ্নিত করে এসব পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি কক্ষ ভাড়া বা খাবার নিয়ে যাতে পর্যটকরা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদ উৎসবে কক্সবাজারে আগত পর্যটক হয়রানি রোধে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের আগে কেনাকাটা করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে ইভটিজিং বা অন্য কোনো ঘটনার সম্মুখীন না হয় সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর