ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল হবে স্বস্তির। এ বছর সবচেয়ে কম দুর্ভোগে বাড়ি ফিরবেন তারা।
শনিবার (১ জুন) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে মির্জাপুর পোস্টকামুরী চড়পাড়া এলাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে অন্যান্য সহযোগী সংস্থা, জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করছে। আমাদের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গতিশীল হয়েছে। এতে ঈদের আগে সামনে থাকা দিনগুলোতেও আমরা যানজটের আশঙ্কা করছি না। সামনের সোমবার (৩ মে) ও মঙ্গলবার (৪ মে) গাড়ির চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু তা যানজটের পর্যায়ে যাবে বলে আমরা মনে করি না।’
যানবাহনের গতি প্রসঙ্গে ডিআইজি বলেন, ‘নির্ধারিত গতিতে যেন চালকরা যানবাহন চালান, সেদিকে পুলিশ খেয়াল রাখছে। এক্ষেত্রে চালকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। নিষিদ্ধ কোনো যান যেন মহাসড়কে না ওঠে, সেদিকে পুলিশ খেয়াল রাখবে। চালকরা আইন লংঘন করলে পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।’
তিনি জানান, এই মহাসড়কে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার সড়কে দিনভর কাজ করবেন তারা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপার বেগম শামসুন্নাহার, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন পাল ও শামসুল ইসলাম সহিদ প্রমুখ।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম মিজানুল হক জানান, মহাসড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য টাঙ্গাইল অংশেই পুলিশের ছয়টি অস্থায়ী সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট দেখা যায়নি। তবে মহাসড়কে গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়!