কখনও চকলেট আবার কখনও বা ক্ষুধার্ত পথশিশুকে দুমুঠো ভাত খেতে দিতেন শামিমা। আর এর পেছনে শামিমার উদ্দেশ্য ছিল মাদক ব্যবসা। পথশিশুরা জানতোই না, দুমুঠো ভাত খেতে দেয়ার পর তাদের মাধ্যমেই মরন নেশা ইয়াবা পৌঁছানো হচ্ছে ক্রেতার কাছে। আর এভাবে গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের সবুজবাগ এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করছিলেন শামিমা।
গত ১০ বছর ব্যবসা চালিয়ে গেলেও এবার ধরা পড়েছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে। রোববার (২ জুন) ডিবি পুলিশ কৌশলে আটক করে শামিমাকে। পরে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
এলাকাবাসী জানায়, সবুজবাগের সুলতান মিয়ার স্ত্রী শামিমা আফরোজ পাপলু। এলাকাবাসী জানতেন না শামিমা মাদক ব্যবসা করেন। চলাফেরা দেখে বোঝার উপায় নাই তার বাড়ি থেকেই মরন নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘শামিমা ক্রেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা নিতেন। পরে ক্রেতা ইয়াবা নেয়ার জন্য বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করতেন। এসময় পথ শিশুদের মাধ্যমে ইয়াবা পৌঁছে দেয়া হতো ক্রেতার হাতে। এর বিনিময়ে পথ শিশুকে কখনও দুমুঠো ভাত আবার কখনো চকলেট দিতেন শামিমা।
শামিমার নামে পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।