লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদল নেতা নাছির আলম মিশন ও জেলার মোহাম্মদ শাহ আলম পাল্টাপাল্টি মারধরের অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উভয়ই পাল্টাপাল্টি মামলাও করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার (৩ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মারধরের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আসিবুল হাসান বাদী হয়ে জেলার মোহাম্মদ শাহ আলমসহ ২১ জনের বিরুদ্ধ মামলা করেন। আর গত ২ জুন কারারক্ষীদের মারধরের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মিশনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন জেলার মোহাম্মদ শাহ আলম।
আসিবুল হাসানের আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল আলম নাহিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জেলারের বিরুদ্ধে মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তের জন্য নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
মামলায় জেলার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আলমগীর, রবিউল, নাছির, দেবাশীষ, সাখাওয়াত, সাহাবুদ্দিন, আশিক, হাবিব, সাইফুল, ইউসুফিএবং অজ্ঞাত আরও ১০ জন। তারা লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী।
ছাত্রদল নেতার করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মে রাতে শহরের আটিয়াতলি এলাকায় জেলা কারাগারের পেছনে কারারক্ষী আলমগীর ও নাছির ইয়াবা কিনতে যায়। তারা বাইরে থেকে ইয়াবা কিনে কারাগারে সরবরাহ করে। এসময় মামলার বাদী আসিবুল হাসানসহ এলাকার লোকজন তাদেরকে আটক করে কারাগারের পাশে ইসলাম মার্কেটের সামনে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে জেলারসহ মামলায় আসামিরা ঘটনাস্থল এসে দেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আসিবুলসহ তিনজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।
একপর্যায়ে আসিবুল লাঠির আঘাতে জখম হয়। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জেলারসহ কারারক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে আহতরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ মামলার পাঁচ নম্বর সাক্ষী ছাত্রদল নেতা নাছির আলম মিশন।
এদিকে, সদর থানায় জেলার শাহ আলমের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নাছির আলম মিশনসহ তার অনুসারীরা গত ৩১ মে রাতে তিনজন কারারক্ষীকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মিশনকে প্রধান করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গত ২ জুন সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আর গত ১৭ মে মিশনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা নাছির আলম মিশন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কারারক্ষীরা মাদক ব্যবসায় জড়িত। হাতেনাতে ধরার পর আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করেছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার মোহাম্মদ শাহ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কারারক্ষীদের মারধর ঘটনায় মিশন ও আসিবুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার জেরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেছে।’