ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে প্রায় ৩০কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘসারির সৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সোমবার (৩ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২৭১ টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৪ হাজার ৯৬০টাকা।
তবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। কারণ হিসেবে সেতু সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়ির যানজটের কারণে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। সেতুর পশ্চিম দিকের রাস্তা স্বাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় টোল আদায় শুরু হয়।
মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্ব হতে মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এছাড়া সড়কে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ পরিবহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস, বায়ইখোলা, করটিয়া হাটবাইপাস, নাটিয়াপাড়া ও পাকুল্লায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
হানিফ পরিবহনের চালক নাজমুল মিয়া বলেন, ‘মহাসড়কে গাড়ির প্রচুর চাপ। ফলে সকাল থেকে মির্জাপুরের পাকুল্লা হতে টাঙ্গাইলের বায়ইখোলা আসতে প্রায় তিনঘণ্টা সময় লেগেছে। যা অন্য সময় ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগতো।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার (ওসি) মোশারফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, গতকালের তুলনায় আজ (মঙ্গলবার) গাড়ির বাড়তি চাপ রয়েছে। ফলে থেমে থেমে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে গাড়ি টানতে না পাড়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।