হাবিব হোসেন তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী আফরোজা বেগমকে নিয়ে গাজীপুর থেকে একটি লোকাল বাসে করে কুড়িগ্রাম যাচ্ছিলেন। এদিকে, গাড়ি তখন ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের গোলচত্বরে। দীর্ঘ যানজটে গাড়ি চলছিল না বললেই চলে। এরই মধ্যে হঠাৎ প্রসব বেদনা শুরু হয় তার।
আশপাশে কোনো হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগও নেই। পরে তাকে বাস থেকে নামিয়ে মহাসড়কের পাশে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বর্তমানে মা-মেয়ে দু’জনই সুস্থ রয়েছেন। পরে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই নার্স সেতু এলাকায় এসে নবজাতক ও মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাবিব হোসেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৩ নম্বর ভোগদাঙ্গা ইউনিয়নের পোরার ভিটা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। হাবিব তার মেয়ের নাম রেখেছেন স্বরনী।
জানা গেছে, হাবিব হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করতেন। গাজীপুর শহরে কখনও রিকশা, কখনও শ্রমিকের কাজ করতেন সে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে লোকাল একটি পরিবহনে করে স্ত্রীকে নিয়ে কুড়িগ্রামে যাচ্ছিলেন।
হাবিব হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, গাড়িতে প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে ধরে সড়কের পাশে নামিয়ে রাখা হয়। এ সময় গাড়ির একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে রাস্তার পাশেই স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী আফরোজা বেগম কন্যা শিশু জন্ম দেন। এরপর ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নার্সসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে নার্সরা স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা দেন। মা ও মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছেন।
ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র নার্স স্বেদ খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আসার আগেই সড়কের ওপরে সন্তান প্রসব হয়েছে। এরপর মা মেয়েকে চেকআপ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুইজনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। দুইজনই সুস্থ রয়েছেন।