সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল (সিরাজগঞ্জ রোড) পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঘরমুখো হাজারো মানুষ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার সময় জেলার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে কড্ডার মোড় এলাকায় দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। ঘন্টার পর ঘন্টা পার হলেও সামনে এগুতে পারছে না গাড়িগুলো। জ্যামে পড়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করায় যাত্রীদের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।
যাত্রী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের পর থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রাত পৌনে ১২টার দিকে ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বরের মাত্র কয়েক কিলোমিটারের রাস্তা পার হতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লেগেছে।
বগুড়াগামী সরকারি চাকরিজীবী মো. নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘এই সেতু থেকে (কড্ডার মোড়) এখানে আসতে ৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। বাড়ির সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়ে বারবার ফোন করছে। বলছি যে এই তো চলে আসছি, আর কিছুক্ষণ।’
সিরাজগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরাফত ইসলাম বার্তা২৪. কমকে বলেন, ‘অতিরিক্ত গাড়ির চাপে কিছুটা জ্যাম হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য। ইফতারের অনেক পর থেকে জ্যাম শুরু হয়। অনেক সময় ড্রাইভাররা ঘুমিয়ে যায়, এতে আরও বেশি সমস্যা হয়।’ টাঙ্গাইলের জ্যামের চাপ এদিকে এসে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল অভিমুখী এই সড়কটি দিয়ে দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করেন। টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ রোড বা হাটিকুমরুল পর্যন্ত সড়কটিতে রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সকল গাড়ি চলাচল করে।
এদিকে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের রসুলপুর এলাকায় তীব্র যানজটে আটকে পড়া যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের একটি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
টাঙ্গাইলের মহাসড়কের দুইপাশে অন্তত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।