সুন্দরবনের নিরীহ প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিতা বা চিত্রল হরিণ। বনে ঘুরতে এসে সবাই এই হরিণকে কাছে পেতে ও নিজ হাতে কিছু খাওয়াতে চায়। এমনকি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছবিও তুলতে চায়।
আর হরিণকে দর্শনার্থীদের কাছে এনে খাবার খাওয়ানো ও ছবি তোলার জন্য প্রতিনিয়ত যিনি সুযোগ করে দিয়ে থাকেন তিনি হলেন লাল মিয়া। লাল মিয়া প্রায় দু’বছর ধরে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদেরকে হরিণকে কাছে পাওয়া ও ছবি তোলার বিনোদন দিয়ে আসছেন।
লাল মিয়ার বাড়ি বাগেরহাটের মংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামে। প্রতিদিন তিনি জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত নদী-খালের চর থেকে ঘাস কেটে করমজলে নিয়ে আসেন। করমজলের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে এ ঘাস নিয়ে বসে থাকেন। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা এখানে এসে লাল মিয়ার কাছ থেকে ঘাস নিয়ে তা হরিণকে খাওয়ান। ঘাস দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের কাছে ছুটে আসে হরিণ। এতে বেশি আনন্দ উপভোগ করে শিশুরা।
লাল মিয়া বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ঘাস নিয়ে সবাই হরিণকে খাওয়ায় এবং ছবি তোলে। তারা খুশি হয়ে আমাকে দুই চার টাকা দেয়। এতে দিনে আমার কোনো দিন ২শ, কোনো দিন ৩শ ও ৪শ টাকা পর্যন্ত হয়। এই টাকাতেই আমার সংসার চলে এবং লোকজন আনন্দিত হয়।’
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, চর ঘাস হরিণের খুব পছন্দের খাবার। তাই লোকজন এ ঘাস হাতে নিতেই হরিণ দৌড়ে কাছাকাছি ছুটে আসে।
তিনি আরও জানান, হরিণগুলোকে প্রতিদিন এ কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেয়া হয়।