টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না নড়াইলের সদর উপজেলার সাধুখালী গ্রামের মেধাবী ছাত্রী আমেনা পারভীন। দিনমজুর পিতা-মাতার পক্ষে মেয়ের পড়াশুনার খরচ বহন করাও সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার।
জানা গেছে, সাধুখালী গ্রামের দিনমজুর খবির মোল্লা ও রেহেনা বেগমের মেয়ে আমেনা পারভীন। ছোট বেলা থেকেই খুবই মেধাবী তিনি। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন তার। তবে দিনমজুর বাবার আয়ে যেখানে সংসারই চলে না সেখানে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অনেকটা, 'বামন হয়ে চাঁদ ধরতে চাওয়ার মতো স্বপ্ন'। তবে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতে চান দরিদ্র বাবা। কিন্তু কলেজেই ভর্তি করাতে পারছেন না। ফলে মেয়ের স্বপ্ন পূরণে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
আরও জানা গেছে, আমেনা সদর উপজেলার হবখালী হামিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ ছয় সদস্যের পরিবার চলে দিনমজুর খবির মোল্লার আয়ে। ফরে সংসার চালিয়ে মেয়ের পড়াশুনার খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আমেনা পারভীন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘লেখাপড়া করে চিকিৎসক হয়ে দেশের দরিদ্র মানুষের সেবা করতে চাই। আগামী ২৭ জুন থেকে কলেজে ভর্তি শুরু হবে। কিন্তু আমি ভর্তি হতে পারব কিনা- সেটা অনিশ্চিত।’
আমেনা পারভীনের বাবা খবির মোল্লা ও মা রেহেনা বেগম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে এ পর্যন্ত মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন করেছি। এখন কলেজের খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে টাকার জন্য কি আমাদের মেয়ে কলেজে ভর্তি হতে পারবে না? তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কি পূরণ হবে না?’
হবখালী হামিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমেনা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে লেখাপড়ার খরচ বহন করা সম্ভব না। তাই সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসতেন তাহলে আমেনার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হত।’