বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে আক্রশে খুন হওয়া মাদরাসা ছাত্র শাহাপরান (১১) হত্যা মামলার পালাতক আসামি শিক্ষক হাফিজুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২জুন) দুপুর ১টায় শার্শা থানা পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
এর আগে ভোরে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার একটি কওমি মাদরাসার ভেতর থেকে হাফিজুরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি হাফিজুর বেনাপোলের কাগজপুকুর খেদাপাড়া হেফজুল কোরান হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। হত্যাকাণ্ডের শিকার ছাত্র ওই মাদরাসার ছাত্র এবং কাগজপুকুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে শার্শার নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলশি সুপার জুয়লে ইমরান জানান, অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফিজুরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি অনেকদিন ধরে ছাত্র শাহাপরানকে বলাৎকারের চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে হাফিজুর তার আক্রোশ মেটাতে ছাত্র শাহাপনারকে বেড়ানোর কথা বলে গত ৩১ মে শার্শার গোগা গ্রামে নিয়ে যান। পরে তাকে নিজ ঘরে শ্বাসরোধে হত্যা করে মহাদেহ খাটের নিচে রাখে। পরে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান হাফিজুর।
তিনি আরও জানান, ২ জুন ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ এসে ছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আসামিকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালানা করলেও তাকে আটক করা যায়নি। অবশেষে বুধবার ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার একটি কওমি মাদরাসা থেকে শিক্ষক হাফিজুরকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এ হত্যার ঘটনায় উপযুক্ত বিচার দাবি করে আসছেন শাহাপরানের পরিবার। তারা বলেন, সততা আর আদর্শ নিয়ে মানুষ গড়ার স্বপ্নে ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সব স্বপ্ন ওই শিক্ষকের লালসার কাছে মিথ্যা হয়ে গেছে। আর কাউকে যেন এমনভাবে জীবন দিতে না হয়।
এ জন্য উপযুক্ত বিচার দাবি করেন শাহপরানের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে শিক্ষক হাফিজুরকে আটকের আগে তার আত্মীয় স্বজনকে আটক করে পুলিশের বিপুল পরিমাণে অর্থ বাণিজ্য হয়েছে, এমন গুঞ্জন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি। কিন্তু যাদের নিকট থেকে অর্থ বাণিজ্য হয়েছে, তাদের আমি ডেকে জিজ্ঞাসা করলে এর কোনো সত্যতা মেলেনি।’