নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় অভ্যর্থনা কক্ষে লাগানো রয়েছে দুইটি প্লাকার্ড। তাতে লেখা রয়েছে কনস্টেবল নিয়োগ সংক্রান্ত আলাপ নিষেধ।
মূলত পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি প্রার্থী কোনো প্রকার ঘুষ ও তদবির ছাড়া যাতে সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকায় নিয়োগ পেতে পারে সেজন্য কাজ করছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। ঘুষ ছাড়াও যে পুলিশে চাকরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা সৃষ্টির জন্য শহরে মাইকিং করাও হয়েছে।
জানা গেছে, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে নড়াইল জেলায় ১০ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী নিয়োগ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিশেষ কোটায় অপূরণীয় থাকা ৮ জন নারী কনস্টেবলসহ মোট ২০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী ২৯ জুন নড়াইল পুলিশ লাইনে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের মাঠে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জুন লিখিত পরীক্ষা, ৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষা এবং ৪ জুলাই মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই একটি দালাল চক্র তৎপর হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সময়ে পুলিশে নিয়োগ পেতে ১০ থেকে ১৩ লাখ টাকা লেনদেন করতে দেখা গেছে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি ফি ১০০ টাকা ছাড়া কোনো অতিরিক্ত টাকা লাগবে না। অনেকে অফিসে আসেন বিভিন্ন প্রয়োজনে। তাই পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে কেউ যেন আলোচনা না করে সেজন্য দুইটি প্লাকার্ড লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করা হচ্ছে। দালাল চক্র থেকে দূরে থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।