ঝালকাঠি থেকে ১০ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে এ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝালকাঠি বাস মালিক-শ্রমিকরা। বরিশালের রূপাতলীর মালিক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ এনে এ কর্মসূচি পালন করছে তারা।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল ও খুলনা রুটের অসংখ্য যাত্রী। ব্যাটারি চালিত রিকশায় বাড়তি ভাড়া গুনে যাত্রীদের ঝালকাঠি থেকে বরিশালে যেতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে লাগছে বাড়তি সময়।
অপরদিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল কিংবা বিকল্প যানে করে পিরোজপুর থেকে খুলনারুটে যেতে হচ্ছে ঝালকাঠির যাত্রীদের। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অসংখ্য যাত্রীকে।
ঝালকাঠি থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হওয়া যাত্রী রুবেল হোসেন বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধের কারণে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। এখন বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে বিকল্প পরিবহনে বরিশালে যেতে হবে।’
ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হোসেন জানান, নানা অজুহাতে বরিশাল রূপাতলীর বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিকরা ঝালকাঠির বাস শ্রমিকদের কাছ থেকে বাড়তি চাঁদা দাবি করে আসছে। এমনকি তাদের প্রায়ই মারধরও করা হচ্ছে। রূপাতলীর শ্রমিক-মালিকদের এ নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝালকাঠি থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে রাখা হবে।