মধুমাসে আমরা বিভিন্ন ফলের সঙ্গে পরিচিত হই। আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালও এই সময়ে পাকে। কিন্তু কাঁঠালের মতো দেখতে আরেকটি ফল আছে, যা সবাই চেনেন না বা ফলটি সম্পর্কে জানেন না।
ফলটির নাম ‘চাম কাঁঠাল’। দেখতে কাঁঠালের মতো হলেও আকারে অনেক ছোট, স্বাদও ভিন্ন। তবে সুস্বাদু। আগে অনেক জায়গায় এই ফলের দেখা মিললেও এখন তা বিলুপ্তপ্রায়। তবে গ্রীষ্মকালে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থানে ফলটির দেখা মেলে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌলভীবাজারের ফুটপাতসহ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে চাম কাঁঠাল। বাজারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় এই ফলটি। ফলটি যাদের কাছে পরিচিত তারা আগ্রহ নিয়েই কিনছেন, আবার অনেকে ফলটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, পাহাড়ি এলাকায় চামল নামে একটি গাছ হয়। এই গাছে কাঁঠালের মতো ফল ধরে, তবে আকারে অনেক ছোট। অনেক আগে থেকেই এই ফলটির নাম ‘চাম কাঁঠাল’। বর্তমানে গ্রাম-বাংলায় বন উজার হওয়ায় এই বিশেষ ফলটি দুর্লভ হয়ে পড়েছে। অল্প বিস্তর গ্রাম-গঞ্জে পাওয়া গেলেও শহরের মানুষ এই কাঁঠাল সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
সম্প্রতি মৌলভীবাজার শহরের রেল গেটের সামনে মনির মিয়া ও নুর মিয়াকে চাম কাঁঠাল বিক্রি করতে দেখা যায়। সেখানে অনেকে ভিড় জমিয়েছেন ফলটি সংগ্রহ করতে, আবার অনেকে ফল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এ সময় নুর মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, এসব কাঁঠাল পাহাড়ি এলাকা থেকে আনা হয়েছে। এখন চাম কাঁঠালের সময়।
ক্রেতা নুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চাম কাঁঠাল অনেক সুস্বাদু। প্রতি বছরই আমি ফলটি কেনার অপেক্ষায় থাকি। আজ ৬টি চাম কাঁঠাল কিনেছি। প্রতিটি চাম কাঁঠাল ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, চাম কাঁঠালের আকার ছোট বেলুনের মতো। এই কাঁঠালের কোষগুলোও ক্ষুদ্র। কিন্তু খুব সুস্বাদু। টক এবং মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে ‘চাম কাঁঠাল’। পাহাড়ি এলাকা ছাড়া এই গাছ টিকে থাকে না। ফলে সহজে এই গাছের দেখা মেলে না।