নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে এ বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
এ সময় ছাত্রদের ওপর পিস্তল দিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, ১৫ জুন সকালে শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিকের প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে পরীক্ষা দেয় সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সানজিনা এরিনা। তবে খাতায় নাম না লেখার কারণে ওই ছাত্রীকে মারধর করেন প্রদেশ কুমার। ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পরে ওই ছাত্রীর বাবা স্থানীয় ঠিকাদার মঈনুল্লাহ দুলু শিক্ষককে বাড়ি থেকে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে একঘণ্টা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।
এ সময় ঠিকাদার মঈনুল্লাহ দুলুর সমর্থকরা পিস্তল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিয়ে স্কুল গেটে বিক্ষোভ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে সন্ত্রাসী দুলুসহ তার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে একজন পিস্তল নিয়ে আমাদের ওপর গুলি করতে তেড়ে আসে।’
ছাত্রদের দাবি, শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে। তাই সকল শিক্ষার্থীর সামনে ওই অভিভাবককে শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক এবং ঘটনা যেহেতু জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, তাই তিনিই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিব।’
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এখন বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। তবে আলম নামে একজনের পিস্তল থানায় জমা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।