বকেয়া বেতনের দাবিতে বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপোর ম্যানেজার মফিজ উদ্দিনকে তার কক্ষে তালা দিয়ে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখেন কর্মচারীরা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে একের পর এক বাস বিকল হওয়া, কর্মচারীদের ৮-১০ মাস বেতন বকেয়া রাখা, পুরাতন টায়ার কিনে নতুন টায়ারের ভাউচার করা, ডিপোকে লেকসানের দিকে নিয়ে যাওয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে ম্যানেজার (অপারেশন) মফিজ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করার আদেশ জারি হয়।
একই আদেশে রংপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার মেহেদী হাসানকে বগুড়ায় বদলি করা হয়। ওই আদেশে সোমবার প্রত্যাহার হওয়া ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন দায়িত্ব হস্তান্তর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বকেয়া বেতনের দাবি এবং ম্যানেজারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্মচারীরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন।
বিআরটিসির চালক মাসুদ রানা ও আব্দুল মান্নানসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী জানান,তারা ৮থেকে ১০ মাস ধরে বেতন পান না। বিআরটিসির আয় নেই সেই অজুহাতে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া পড়েছে। সতুন ম্যানেজার যোগদান করলে পূর্বের বকেয়া বেতনের দায় নিবেন না। এ কারণে তারা দুপুর ২ টার দিকে ম্যানেজারের কক্ষে তালা দেন। এ সময় ম্যানেজার কক্ষের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তার কক্ষের তালা খুলে দেন।
কর্মচারীদের অভিযোগ, ম্যানেজার দুর্নীতির মাধ্যমে নিজে অবৈধভাবে টাকা আয় করতে গিয়ে ডিপোকে লোকসানের মুখে ফেলেছেন। পুরাতন টায়ার এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে নতুনের ভাউচার করার কারণে একের পর এক বাস বিকল হয়ে রুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ম্যানেজারের দীর্ঘদিনের অপকর্মের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মচারীদেরকে। এ কারণে তারা বেতন না পাওয়া পর্যন্ত ম্যানেজারকে ডিপো থেকে বের হতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেন।
ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘যদি বেতনের দাবিতে আন্দোলন হতো তাহলে এতদিন তারা কি করেছে? আজ কেন তারা সরকারি অফিসে তালা দিল?’
তবে তিনি দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানাতে চাইলে, তা এড়িয়ে যান।