বাগেরহাটে অপহরণের দুই দিন পর চিংড়ি ঘের থেকে ৬ বছর বয়সের শিশু খালিদ শিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে জেলার চিতলমারী উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের জনৈক সবুর তালুকদারের চিড়িং মাছের ঘের থেকে ওই শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে শিশু খালিদকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। শিশুটির লাশের ময়না তদন্তের জন্য সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহত খালিদের পরিবার জানায়, গত ১৫ জুন বিকেলে বাড়ির পাশের ঈদগাহ মাঠে খেলাধুলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয় শিশু খালিদ। ওই দিন রাতে খালিদের বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো: কাওসার আলী তালুকদার ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা অপহরণের পর শিশু খালিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা তার মরাদেহ চিংড়ি ঘেরে ফেলে দেয়। নিহত খালিদ শিকদার চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চিতলমারী সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের অপাধ্যক্ষ চৌদ্দহাজারী গ্রামের কাওসার আলী তালুকদারের ছেলে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, গত ১৫ জুন বিকেলে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক চৌদ্দহাজারী গ্রামের কাওসার আলী তালুকদারের ছেলে খালিদ বাড়ির পাশে ঈদগাহ মাঠে খেলা শেষে বাড়ী ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত হয়। ওইদিন রাতে অপহৃতের বাবা কাওসার তালুকদার বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশের একাধিক দল অপহৃত ওই শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। স্থানীয় লোকজন সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মাছের ঘেরে শিশুর মরাদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অপহৃত খালিদের মরদেহ বলে সনাক্ত করেন। দুর্বৃত্তরা অপহরণের পরপরই শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে শিশু খালিদকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এজাহারনামীয় নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চিতলমারী সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের অপাধ্যক্ষ কাওসার আলী তালুকদারের সঙ্গে তার গ্রামের বেশকিছু মানুষের মধ্যে জমি ও রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।