রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম। এ সময় নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এ সময় তিনি ভোটগ্রহণ স্থগিতের দাবি জানান। নৌকার প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে একটি মহল। তারা প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে মারধর ও কয়েকজনের হাত-পা ভেঙে দেয়। সর্বশেষ গত রোববার আমার প্রধান সমর্থক মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়।’
কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ নির্বাচন অথচ এখনো নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করেছে। রাতে আমার সমর্থক ও এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আজ সকাল ৮টায় নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। দুপুরের মধ্যে নির্বাচন স্থগিত করা না হলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেব এবং এ বিষয়ে মামলা করব।’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৫ম ও শেষ ধাপে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, কালুখালীতে চেয়ারম্যান পদে কাজী সাইফুল ইসলামের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দকী হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৬টি।