ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সৈয়দটুলার খন্দকার হাটি ও ফকিরপাড়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে-সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল হক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল নাজমুল, কনস্টেবল ইউসুফ, কনস্টেবল বেলাল, কনস্টেবল সুমন, কনস্টেবল রোকন, কনস্টেবল সাইফুল, আশিক, আব্দুল্লাহ, মোফাচ্ছেল, জুয়েল, ফয়সাল ও মোস্তফার নাম জানা গেছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সরাইল উপজেলার নোয়াহাটি এলাকার দুই স্কুলের ছাত্রী প্রাইভেট থেকে ফেরার পথে ফকিরপাড়ার কয়েকজন ছেলে তাদের ইভটিজিং করে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে এরই জেরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এসময় ইটের আঘাতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।