পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আহসানুল কবির (৫০) পাবনা সদর থানার মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় বাস করেন।
জানা গেছে, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বায়েজিদ নামের এক ছাত্রকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আহসানুল কবির। এই প্রতিশ্রুতিতে কয়েকদিন আগে বায়েজিদকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান আহসানুল কবির। বায়েজিদকে বাইরে রেখে তিনি হাইওয়ে পু্লিশ সুপারের কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বের হয়ে বায়েজিদকে জানান আলোচনা হয়েছে তিন লাখ টাকা অগ্রীম দিতে হবে।
বায়েজিদ বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার নিয়োগ বোর্ডের কেউ না। এতে তাদের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ কৌশলে আহসানুল কবিরকে গ্রেফতার করে থানায় আনে।
এদিকে, আহসানুল কবির গ্রেফতারের খবর জানাজানি হলে কাহালু থানার কোহালী গ্রামের মশিউর রহমান থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন তার ভাতিজা আসিফ খানকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আহসানুল কবির ৬ লাখ টাকা চুক্তি করেন। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সপ্তপদী মার্কেটের সামনে ৯২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
তবে গ্রেফতারকৃত আহসানুল কবির বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা গ্রহণ করেননি। তবে বায়েজিদের ব্যাপারে সুপারিশ করতে তিনি হাইওয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। হাইওয়ে পুলিশ সুপার তার পরিচিত হওয়ায় তিনি বায়েজিদকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বায়েজিদের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর কাহালু থানার কোহালী গ্রামের মশিউর রহমান বাদী হয়ে আহসানুল কবিরের নামে মামলা করেছে।’