ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলায় তামান্না আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে তার দুলাভাই ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুলাভাই নাঈম ইসলাম (২৭) পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিহত কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তামান্না শালগাঁও গ্রামের নোয়াব মিয়ার মেয়ে। সে ওই গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
তামান্নার বড় বোন স্মৃতি আক্তার জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান।
নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্মৃতি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।