জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে লাল ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাবনার প্রায় সাড়ে তিন লাখ (১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী) শিশু।
প্রথম রাউন্ডে (২২ জুন) শিশুরা নীল ও লাল ক্যাপসুল খাবে এমন প্রচারণা চালানো হয়েছিল। তবে পাবনায় লাল ক্যাপসুল না আসায় শিশুরা তা খেতে পারছে না। লালের বদলে শিশুরা দুইটি করে নীল ক্যাপসুল খাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সিভিল সার্জন অফিসের পাবনা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. রবিউল আলম জানান, পরিমাণে কম থাকায় পাবনায় লাল ক্যাপসুল আসছে না। লাল ক্যাপসুলের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণে নীল ক্যাপসুল পাঠানো হচ্ছে।
রবিউল আলম বলেন, ‘জেলার জন্য যে পরিমাণ ক্যাপসুল প্রয়োজন তার চেয়ে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত চেয়েছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যাপসুল পাওয়া যায়নি। তবে যা পাওয়া গেছে, তাতে করে জেলার জন্য চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।’
জেলার নবাগত সিভিল সার্জন ডা. মো. মেহেদী ইকবাল জানান, নীল ক্যাপসুলের ডাবল পাওয়ার রয়েছে লাল ক্যাপসুলের মধ্যে। যে সকল শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুইটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে শিশুদের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের পাবনাস্থ কো-অডিনেটর শায়লা সোলায়মান কেয়া জানান, কাঁচামালের সরবরাহ কম থাকায় এবারে লাল ক্যাপসুলের পরিবর্তে শিশুদের নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে বয়স ভেদেই শিশুদের জন্য লাল ও নীল ক্যাপসুল তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে পুষ্টিগুণ একই আছে।
শায়লা সোলায়মান জানান, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল মূলত অনুদান দিয়ে থাকে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে ১ লাখ আইইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট)।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাস থেকে ১১ মাস ২৯ দিনের ৪৪ হাজার ৮৫৩ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে নীল ক্যাপসুল। আর ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস ২৯ দিনের ৩ লাখ ৪১ হাজার ৭১৩ জন শিশুকে খাওয়ানোর কথা ছিল একটি করে লাল ক্যাপসুল। কিন্তু লাল ক্যাপসুল সরবরাহ না থাকায় ওই শিশুদের দুইটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, ১১টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, অস্থায়ী ১ হাজার ৮০৮টি টিকাদান কেন্দ্রে এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ জন্য ২২৭ জন সুপারভাইজার, ৭৬৩ জন মাঠকর্মী ও ৩ হাজার ৬৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে নিয়োজিত থাকবেন। ক্যাম্পেইনের কেন্দ্রগুলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।