শখের বসে ১০টি কোয়েল পাখি কিনলেও এখন পুরোদস্তুর খামারি বনে গেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল নাজিরপুর গ্রামের সোনহর আলীর ছেলে কলেজছাত্র শরীফ উদ্দিন। তিনি এখন খামারে কোয়েলের পাশাপাশি মোরগও পালন করেন।
জানা গেছে, শরীফ হবিগঞ্জ জেকেএইচ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বড় ভাই মো. রাইছুলের সহযোগিতায় ‘এসএ এগ্রো ফার্ম’ নামে একটি খামার গড়ে তুলেছেন। যেখানে রয়েছে দুটি পোল্ট্রিসহ তিনটি খামার। বর্তমানে তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি খামার দেখাশুনা করেন। তার খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও দুই জনের।
ছোট ভাইয়ের খামারি হয়ে ওঠার গল্প বলতে গিয়ে বড় ভাই শরীফ উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘দুই বছর আগে শখের বসে ১০টি কোয়েলের বাচ্চা কিনে আনে শরীফ। দুই মাস পালন করার পর পাখিগুলো ডিম দিতে শুরু করে। ভালো সফলতা পাওয়ায় সে আরও ৫০০ কোয়েলের বাচ্চা কিনে ছোট পরিসরে খামার শুরু করে। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অল্প দিনের মধ্যে বেড়েছে খামারের সংখ্যা। বর্তমানে তার খামারে ১২ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। খামার থেকে প্রতিমাসে তার এক লাখ টাকার বেশি মুনাফা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে অনেকে বলেছিল কোয়েল পাখিগুলো বাঁচবে না, মারা যাবে! তাদের কথা শুনে অনেক কষ্ট হলেও এখন সফলতা এসেছে।’
ছাত্র অবস্থায় খামারি হয়ে ওঠার বিষয়ে শরিফ উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নিজে কিছু করার প্রত্যয় থেকে শখের বিষয়টি ব্যবসায় রূপান্তর করেছি। প্রতিদিন খামার থেকে গড়ে তিন হাজার ডিম পাই। স্থানীয় বাজারে কোয়েলের ডিম দুই টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আমার খামার থেকে ডিম কিনতে আসেন। আবার অনেকে খামার দেখতে আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি পৃষ্টপোষকতা ও উন্নত প্রশিক্ষণ পাওয়া গেলে মুনাফা বেশি হতো। পাশাপাশি এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান করা যেতো।’