নিজে ফেরি করে মৌসুমী ফল বিক্রি করলেও সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করতে চান নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া-লক্ষিপুর গ্রামের রিপন কাজী। পেশায় তিনি একজন মৌসুমী ফল বিক্রেতা হলেও সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর প্রতি তার আগ্রহ প্রবল।
সম্প্রতি বার্তা২৪.কম’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘নিজে অশিক্ষিত, তাই বলে সন্তানদের আমার মতো মূর্খ বানাব না। আমরা যে ভুল করেছি আর কোনো বাবা-মা যেন এমন ভুল না করে। আমার ছেলেদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।’
জানা গেছে, রিপন কাজী এলাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি কখনও ছোলা, কখনও আমড়া অথবা কামরাঙ্গা বিক্রি করেন। মরিচ, পেঁয়াজ, কাসুন্দি ও বিভিন্ন প্রকার মশলা দিয়ে ফল মাখিয়ে বিক্রি করেন তিনি। তার কামরাঙ্গা মাখানো এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তার সুখের সংসার। বড় ছেলে নিজামউদ্দিন কাজীর বয়স চার ও ছোট ছেলে মঈনুদ্দিন কাজীর বয়স দেড় বছর।
রিপন কাজি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে কামরাঙ্গা কিনে আনি। পরে সেটা কেটে ঝাল-মসলা দিয়ে মাখিয়ে বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল থেকে জেলা শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আদালত এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে যেতে হয়। প্রতিদিন সব খরচবাদে ৩০০-৪০০ টাকা লাভ হয়।’
কামরাঙ্গা ক্রেতা তুহিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কামরাঙ্গা এমনিতেই মুখরোচক। তবে ঝাল-মসলা দিয়ে মাখিয়ে খেলে আরও ভালো লাগে। আমরা সবসময় রিপন কাজীর কাছ থেকে কামরাঙ্গা মাখানো খাই।’