ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় টোল আদায় কমেছে ভৈরব-আশুগঞ্জ সীমানায় মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর। সংশ্লিষ্টদের দাবি, সেতুটির রেলিংসহ চতুর্থ স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা-সিলেট-সুনামগঞ্জ রুটে যানবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোল আদায়ে। সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৮ জুন ওই সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষ এই রুটে যানবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। তবে বিকল্প রুটে যাত্রী না থাকায় টোল আদায় কমেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামতে আরও ১০-১২ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সওজ।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট-সুনামগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহনকে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ রুটে চলাচলের নিদের্শনা দেওয়া হয়। ফলে এই রুটে দৈনিক প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন কমেছে।
আর সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১৬ জুন এই সেতু দিয়ে ১০ হাজার ৪০০, ১৭ জুন ১০ হাজার ৮৬, ১৮ জুন ৯ হাজার ৯০০, ১৯ জুন ৮ হাজার ৭০০ এবং ২০ জুন ৮ হাজার ১০০ যানবাহন চলাচল করেছে। যা আগের তুলনায় দৈনিক দুই থেকে আড়াই হাজার কম। এতে দিনে ৪-৫ লাখ টাকা টোল কম আদায় হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএনএস-এর সহকারী ম্যানেজার মো. জয়নাল আবেদিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘শাহবাজপুরের সেতু সমস্যার কারণে যান চলাচল কমেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে টোল আদায়ে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামত ও বেইলি সেতু স্থাপনের জন্য দিনরাত কাজ চলছে। শিগগিরই আমরা সেতুটি খুলে দেব। পাশাপাশি এখানে ফেরি পারাপারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’