লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী জহুরা বেগমের দেওয়া গরম তেলে ঝলসে যাওয়ার ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী দিদার হোসেনের (৩২) মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে দিদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিদারের মৃত্যু হয়।
এর আগে ১৭ জুন ভোরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকার ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় দিদারের শরীরে গরম তেল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠে স্ত্রী জহুরা ও তার ভাই আলমগীরের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই দিদারের মা বানু বেগম বাদী হয়ে জহুরা ও আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে জহুরা ও তার ভাই আলমগীর পলাতক এবং এখনো তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনার দিন জহুরা ও তার ভাই আলমগীর গরম তেল ঢেলে দিদারের শরীর ঝলসে দেন। এতে তার মুখ-হাত ও বুকসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ‘গরম তেল দিয়ে ঝলসে দেওয়ার মামলাটি এখন হত্যা মামলার ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’
জানা গেছে, দিদার সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। ২০০৩ সালে উপজেলার চররমনী মোহন গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে জহুরার সঙ্গে দিদারের বিয়ে হয়। পরে পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে।
পরে দুইজনই অন্যত্র বিয়ে করেন। প্রায় এক বছর আগে জহুরাকে পুনরায় দিদার বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর দেওয়া গরম তেলে ঝলসে গেলেন স্বামী