লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
সদর উপজেলার আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ২৫ জুন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এফ এম সেফায়েত ছালাম সমনের আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মাখন লাল সাহা জানান, আবদুল্লাহপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ২৫ জুন লক্ষ্মীপুরের ডিসি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের নামে সমন জারি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সদর উপজেলার আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জসিম উদ্দিন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদান ও নৈশ প্রহরীর কাজে ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে ১০ মাসের বেতন বেআইনিভাবে শিক্ষকরা ও নৈশ প্রহরী তুলে নিয়েছেন। এছাড়াও জুন ও জুলাই মাসে কোনো স্বাক্ষর ছাড়াই নৈশ প্রহরী বেতন তুলে নেন। তাদের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সভাপতিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের পক্ষে কাজ করছেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
এজাহারে আরো বলা হয়, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যেন সভাপতির পদ থেকে বাদীকে সরিয়ে দিতে না পারে সেজন্য তিনি আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
যাদের নামে সমন জারি হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার, আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহার, সহ-সভাপতি আবদুস সহিদ, সহকারী শিক্ষক মো. নুরুন্নবী, শারমিন আক্তার, জান্নাত ফেরদৌস, লুৎফুর নাহার, মনির হোসেন, নৈশ প্রহরী সাইফুল ইসলাম ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মর্জিনা আক্তার।