সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট। পাটের আঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় বস্তা, ব্যাগসহ বিভিন্ন ব্যবহৃত জিনিসপত্র। তবে শাক হিসেবেও পাটের বেশ চাহিদা রয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরা পাটশাক অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তা বেশি। পাটশাক সু-স্বাাদু হওয়ায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রান্না করে খাওয়া হয়।
সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট এলাকার বাসিন্দা কৃষক মোস্তফা বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে এ বছর পাট চাষ করেছেন। গাছগুলো অত্যন্ত সবুজ এবং পাতা বেশি হওয়ায় শাক হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পাট শাকের চাহিদা ব্যাপক থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন।
শিবগঞ্জ পৌর এলাকার গৃহিণী আনোয়ারা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রায় দিনই বাজারের তালিকাতে পাটশাক রাখতে হয়। ভাত, ডাল যে কোনো মাছ মাংসের সঙ্গে শাক একটি জনপ্রিয় তরকারি হয়ে উঠেছে। পাট শাকে একটু আমের আচার, খাঁটি সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস মিশিয়ে দিলে স্বাদ ভোলা যাবে না।
শিবগঞ্জ তরকারি বাজারের বৃদ্ধ আনার মন্ডল বার্তা২৪.কমকে জানান, আগে পাট শাক সাধারণত গ্রামের লোকজন বেশি খেত। কিন্তু এখন গ্রামের চেয়ে শহরের লোকজন বেশি খায়। প্রায় তিন মাস তিনি বিভিন্ন জনের ক্ষেত থেকে পাটশাক কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেছেন।
তিনি আরও জানান, পাটশাক বিক্রি করে ভালো লাভ হয়। অন্য সবজির চাইতে পাটশাকের চাহিদা থাকায় বেশি সময় বাজারে বসে থাকতে হয় না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হোদা বার্তা২৪.কমকে জানান, পাটে সাধারণত কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। একরকম নিরাপদ খাদ্য হিসেবে পাটশাক অন্য শাকসবজির চাইতে চাহিদা বেশি থাকে।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ১৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। অধিকাংশ জমি থেকেই পাট পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হচ্ছে।