কদর বেড়ে পঞ্চগড়ের সুপারি যাচ্ছে ঢাকাতেও

পঞ্চগড়, দেশের খবর

মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড় | 2023-09-01 19:18:03

বাঙালির সুপ্রাচীণ কালের ঐতিহ্য পান-সুপারি। অভ্যাসগত কারণে তো বটেই, ভোজনের অনুষ্ঠান শেষে কিংবা বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে যেন এর জুড়ি নেই। দেশের প্রায় সর্বত্রই সুপারি উৎপাদন হলেও কয়েকটি জেলায় এটির আবাদ বেশি হয়ে থাকে। তার মধ্যে পঞ্চগড় অন্যতম।

পানের আবাদ পঞ্চগড়ে হয় না, তবে দিন দিন এখানে বেড়েছে সুপারির গাছ ও উৎপাদন। প্রান্তিক এই জেলায় বেশ কয়েক বছর ধরেই বাণিজ্যিকভাবে সুপারির চাষ হচ্ছে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যত্র বিক্রি করতেও বাড়ির আঙিনায় এর গাছ লাগিয়েছেন অনেকে। কেউবা জমির সীমানা ঠিক রাখতে লাগিয়েছেন এই গাছ।

জেলা সদর, আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপারির গাছ চোখে পড়ে। এ গাছ রোপনে তেমন কোনো পরিচর্যারও প্রয়োজন পড়ে না। ফলে বিনা পুঁজিতে সুপারি বিক্রি করে প্রতি বছর ভালো দাম পাচ্ছেন স্থানীয়রা। বিশেষত পঞ্চগড়ে সুপারির আকার তুলনামূলকভাবে বড় হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় এর চাহিদা রয়েছে বেশ।

একটি গাছে ৪ থেকে ৬ পন (যথাক্রমে ৮০ থেকে ১২ হালি) পর্যন্ত সুপারি ধরে। দাম ভালো পাওয়ায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সুপারি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন আবাদকারীরা।

আটোয়ারী উপজেলার নাজমুল হক জানান, নিজ বাসায় শখ করে তিনি সুপারির পাঁচটি গাছ রোপন করেছেন। কম-বেশি পাঁচটি গাছেই সুপারি ধরে। নিজের প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত সুপারি বাজারে বিক্রি করে প্রতি বছর ভালোই টাকা পান।

একই কথা তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিনা বেগমের। তিনি বলেন, বাসায় কয়েকটি গাছে প্রতি বছর সুপারি ধরে, প্রতিবছরই মোটা অংকের টাকা পাই সুপারির বিক্রি করে।

সুপারির পাইকারি ব্যবসায়ী মনজু হোসেন জানান, প্রতি পন সুপারি ২০০-২৫০ টাকা দরে ক্রয় করেন তারা। এই সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু হানিফ বার্তা২৪.কমকে জানান, 'পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে সুপারির চাষ হয় না। তবে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে বাড়িতে সুপারি গাছ রোপন করেন। গাছে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সম্প্রতি পঞ্চগড়ের সুপারি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর