ঘরের মেঝেতে এক জোড়া বিষধর গোখরা সাপ অন্তত ৪৫টি বাচ্চা দিয়েছিল। এতদিন বিষয়টি টেরই পাননি ঘরের মালিক। শনিবার (২৯ জুন) ঘরের বাইরে উঠানে পালিত মুরগি সাপের একটি বাচ্চাকে ঠোকাচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হলে ক্রমেই আবিষ্কার হয় ঘরের মেঝেতে সাপগুলোর অমন বসবাস!
ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামে, স্থানীয় এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ মিজানুর রহমানের বাড়িতে।
শনিবার রাতে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, দুপুরে বাড়ির উঠানে একটি গোখরা সাপের বাচ্চাকে মুরগি ঠোকাচ্ছিল। সাপের বাচ্চা দেখে তখন সন্দেহ হয়- ঘরের কোথাও সাপের বাচ্চা ফুটেছে। সেই ধারণা থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের মেঝে খোঁড়া শুরু করি। এক পর্যায়ে সাপের আস্তানার সন্ধান মেলে।
‘হঠাৎ গর্ত থেকে ফুঁসে ওঠে সাত ফুট লম্বা একটি বড় গোখরা সাপ (মা)। আর দেরি না করে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাপটি মারি। এসময় গর্তের মধ্যে থাকা অসংখ্য সাপ ফোঁস ফোঁস করছিল। সেগুলোও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়।’
স্থানীয় সরুশুনা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক রাজীব হোসাইন বলেন, সাপের সন্ধানের খবর শুনে আমরাও মিজানের বাড়িতে ছুটে যাই। তখন আমরাও সাপ মারতে শুরু করি। জমে যায় উৎসুক জনতার ভীড়। দেড় থেকে দুই ফুট আকৃতির অন্তত ৪৫টি বাচ্চা সাপ মারা হয়। সাপের অনেকগুলো ডিমও পাওয়া যায়। সেগুলো ধ্বংস করা হয়।