আষাঢ়েও বৃষ্টি না হওয়ায় প্রবহমান প্রমত্তা পদ্মা নদীতে আশানুরূপ পানি নেই। এ কারণে পানি শূন্যতায় ভুগছে পদ্মা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে পদ্মায় যতটুকু পানি থাকার কথা সেটা নেই। তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় পদ্মার পানি বাড়ছে ধীরে ধীরে। আর পদ্মায় আশানুরূপ পানি না থাকায় রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার কৃষি, বাণিজ্য, মৎস্য সম্পদ ও পরিবেশ বিপন্ন হতে চলেছে। হারিয়ে যাচ্ছে প্রায় দেড় শতাধিক দেশীয় প্রজাতির মাছ।
এদিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই, হড়াই, চন্দনা আর চত্রা নদীর উৎস মুখ পদ্মা। ফলে এসব নদীগুলোতে ১২ মাসই পানি শূন্যতা থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমের ২০-২৫ দিন নদীগুলোতে পানি দেখা যায়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পদ্মায় পানি বাড়ছে ধীরে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় এমন হচ্ছে।
রাজবাড়ী পাউবোর প্রধান অফিস সহকারী মো. ইউসুফ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, ২০১৭ সালের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পদ্মায় পানি বাড়ার হার ছিল ৬.৯৮ সেন্টিমিটার। ২০১৮ সালের প্রথম সপ্তাহে ছিল ৫.৩১ সেন্টিমিটার, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫.৫২ সেন্টিমিটার, তৃতীয় সপ্তাহে ৫.১২ সেন্টিমিটার এবং শেষ সপ্তাহে ছিল ৬.৮৪ সেন্টিমিটার। আর ২০১৯ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পানি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.২৮ সেন্টিমিটার, দ্বিতীয় সপ্তাহে ছিল ৫.৩১ সেন্টিমিটার, তৃতীয় সপ্তাহে ছিল ৪.৯৮ এবং শেষ সপ্তাহে ছিল ৬.৬৮ সেন্টিমিটার। ফলে ২০১৭ সালের তুলনায় পানি বৃদ্ধির হার কমেছে দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার এবং ২০১৮ সালের তুলনায় দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার।
রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ বার্তা২৪.কমকে জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত ভারি বর্ষা হয়নি। ফলে দেশের কোনো খাল-বিল বা নদীগুলোতে এখন পর্যন্ত তেমন পানি দেখা যাচ্ছে না। পদ্মার পানি একবারেই যে বাড়ছে না, সেটা নয়। এখনো পানি বাড়ার অনেক সময় রয়েছে। মে-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মার পানি বৃদ্ধির সময়।
তিনি আরও বলেন, ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মার পানি ধীরে বাড়ছে। কারণ ভারত ইচ্ছা মতো পানি বণ্টন করে। আন্তর্জাতিক পানি বণ্টন চুক্তি নীতিমালা মানা হয় না।