আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলিবর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার পর জেলা যুবলীগ ও ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩ জুলাই) ৯ জনের ফাঁসি, ২৫ জনের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষনার পরপরই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় ঘোষণার পরপরই মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সেক্রেটারি জাকির হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেন, 'ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। এই রায় প্রত্যাহার করে দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগান দিলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।'
এদিকে জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ফাহিমুল কবির খান শান্ত বলেন, 'রায়কে স্বাগত জানিয়ে এবং দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবিতে যুবলীগ নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেছিল। কাউকে প্রতিরোধ করতে নয়।'
উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেন বহর নিয়ে রেলপথে খুলনা হতে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের আগে রেলগেট এলাকায় অতর্কিতভাবে শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় অধিকতর তদন্ত শেষে মোট ৫২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়া হয়। এদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ৫ জন মারা গেছেন। বাকি ১৫ জন এখনো পলাতক। বুধবার এই মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা: ৯ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ২৫