জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কবির হোসেন (২০) নামে এক যুবকের মোটরসাইকেল চুরির পর তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তারই তিন বন্ধু। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাতপোয়া ইউনিয়নের চর ছাতারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাচেষ্টাকারী তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে কবিরের তিন বন্ধু তার বাড়িতে থাকতে যায়। কবিরসহ সাথে থাকা বন্ধুরা মিলে রাতে নেশা করে। কবিরকে বেশি নেশা করিয়ে ঘরে এক বন্ধুকে পাহারায় রেখে বাকি দুই বন্ধু তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল চুরি করে সিরাজগঞ্জের ভেটুয়া ঘাটে থাকা তাদের অন্য সহোযোগীর কাছে রেখে আসে। পরে তারা আবার কবিরের বাড়িতে ফিরে আসে। পরে বিষয়টি জানাজানি হবে এই ভয়ে ঘুমন্ত কবিরকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে।
কবিরের মা কল্পনা বেগম বলেন, সকালে কবিরকে ডাকতে গিয়ে দেখি তার পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাকা। পাশে তিন বন্ধু শুয়ে আছে। ডাকে সাড়া না দিলে একপর্যায়ে আমি কবিরের গায়ে থাকা কাঁথা সরালে গলা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে দেখতে পাই। আমি চিৎকার করলে লোকজন এসে কবিরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ওই তিনজনকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।
সাতপোয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বাচ্চু মিয়া বলেন, আমি ডিউটি করার জন্য যাচ্ছিলাম। চিৎকার শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখি কবিরের গলা রক্তাক্ত। আর ঘরে তিনটি ছেলে শুয়ে আছে। পরে আমি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই।
এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন হলো, চকবালিয়া গ্রামের জুরান আলীর ছেলে সাকিল (১৯), নগদা গ্রামের হাফিজুরের ছেলে সোহান (২০) ও ধানাটা গ্রামের টিক্কা খানের ছেলে রবিন (১৯)।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জোয়াহের হোসাইন বলেন, এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চুরিকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধারেও অভিযান চলছে।
এদিকে, ব্লেড দিয়ে গলা কাটার পরে রক্ত বের হতে দেখে মায়া লাগলে কবিরকে আর হত্যা করা যায়নি—পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে হত্যাচেষ্টাকারীরা।