গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ভুয়া এমএলএম কোম্পানির নামে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩২ জনকে আটক করেছে র্যাব। একই সঙ্গে তাদের মাধ্যমে প্রতারিত ৭০ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির হায়দান খান (৫৫), পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন (৪৫), মো. আবু নছর (৫০), মার্কেটিং অফিসার মো. বাবুল হোসেন (৩১), ম্যানেজার মো. লুৎফর রহমান (৪০), মার্কেটিং মো. সেলিম রেজা (৩২), প্রশিক্ষক মো. জালাল আহম্মদ (৪০), অফিস সহকারী মো. শাহীন (২৪), মো. সিরাজ (২৫), ডিস্ট্রিবিউটর মো. সাজ্জাদ (২২), মো. মামুন খন্দকার (৩৪), মো. সাকিল (৩০), মো. নাজমুল হক (২৪), শ্রী পলাশ সরকার (২৪), মো. মাসুদ রানা (২২), মো. তালহা (২৪), মো. ছাইদুর (২২), মো. আ. রহমান (২৪), জেভিয়ার জেংচাম (২৩), মো. সাকিব (২৩), এ্যালবিন (২১), মো. রহিম বাদশা (২১), বাপন (২৫), মো. রুবেল হোসেন (২৭), শিপন রায় (৩২), মো. আমিনুর রহমান (২৫), মো. তাছলিম উদ্দিন (২৯), মো. জাহিদুল ইসলাম (২২), মো.শওকত হোসেন (২১), মো. আরাফাত (২০), মো.আনোয়ার হোসেন (২৪) ও মো. নাজমুল হক (২৬)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) র্যাব-১১ এর এএসপি মো জসিম উদ্দীন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুরে র্যাব-১১ এর সিপিএসসি'র একটি আভিযানিক দল টঙ্গী এলাকায় ‘লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক ভুয়া এমএলএম কোম্পানিতে অভিযান চালায়। অভিযানে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩২ জনকে আটকসহ ৭০ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অভিযানের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ নথিপত্র জব্দ করা হয়।
অভিযানে কোম্পানির অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪০টি মোবাইল, একটি কম্পিউটারের মনিটর, একটি সিপিইউ, একটি প্রিন্টার এবং বিপুল পরিমাণ ভুয়া ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়।
এতে বলা হয়, 'লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড' নামক ভুয়া এমএলএম কোম্পানি মাসিক ১৬ হাজার টাকা বেতনের লোভনীয় অফার দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশী বেকারদের ফাঁদে ফেলত। ভর্তির শুরুতে বাধ্যতামূলক জামানত হিসাবে জনপ্রতি ৫৫ হাজার টাকা কোম্পানিকে দিতে হত চাকরিপ্রত্যাশীদের।
পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের নামে এক সপ্তাহ পর করে নতুন দুইজন সদস্য সংগ্রহের শর্ত দেওয়ার তাদের। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কুট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে খালি স্ট্যাম্প ও আপসনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া হতো। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করা হতো।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।