আবারো শুরু হয়েছে বৃষ্টির মৌসুম। কখনো থেমে থেমে, আবার কখনো কয়েকঘণ্টা ধরে লাগাতারভাবে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে রাঙামাটিতে পাহাড়ে থাকা প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
যদিও এসব বসবাসকারীরা মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও ভিটেমাটি ছাড়তে রাজি নয়। বরং পাহাড়কে ঝুঁকিমুক্ত করে বসবাসের উপযোগী করার দাবি তাদের। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারো পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
তবে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ জানান, বর্ষা মৌসুমে যাতে বিগত বছরগুলোর মতো পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে সেজন্য ‘সর্বোচ্চ প্রস্তুতি’ নেওয়া হয়েছে। গত এপ্রিল মাস থেকেই জেলায় একাধিক বৈঠক, ওয়ার্কশপ, এলাকায় এলাকায় গিয়ে মাইকিং, সভা, সমাবেশ, সচেতনতামূলক পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট বিতরণ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে ২০১৭ সালের ১৩ জুন পাহাড় ধসে পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন নিহত হয়। পরের বছর ২০১৮ সালের ১১ জুন নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়।