শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাস থেকে আনুশকা আয়াত বন্ধন (১৪) নামে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বন্ধন শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব ছনকান্দা গ্রামের ওমান প্রবাসী আনোয়ার জাহিদ বাবু মৃধার মেয়ে। এ ঘটনায় রাতে হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
তারা হলেন-প্রধান আসামি ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের পরিচালক আবু ত্বাহা সাদী (৫২), তার স্ত্রী নাজনীন মোস্তারি নূপুর (৪৫) ও তার বড় ভাই শিবলী (৬০)। ওই স্কুল সংলগ্ন বাসায় সাদী ও তার পরিবারের লোকজন থাকেন।
জানা যায়, শনিবার সকালে ছাত্রীনিবাসে নিজ কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় বন্ধনকে ঝুলতে দেখে এক ছাত্রী চিৎকার দেয়। এ সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে বন্ধনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বন্ধনের পরিবারের লোকজনের দাবি, মেয়েটিকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
পরে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহ ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাতে বন্ধনের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, তার স্ত্রী ও এক বড় ভাইসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন শনিবার রাত ১১টায় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মেয়েটির মৃত্যুর রহস্য বোঝা যাবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবু ত্বাহা সাদী জামায়াত সমর্থক। ছাত্রজীবনে তিনি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও নাশকতার একাধিক মামলা এখনও বিচারাধীন।