পটুয়াখালীর লোহালিয়া ও লাউকাঠী নদী খনন শুরু হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে খনন শুরু হয়।
নদী দু’টির চারটি পয়েন্টে জেগে ওঠা চর এবং ডুবোচর অপসারণ করা হবে। এদিকে ড্রেজিং কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবারই প্রথম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হলে লোহালিয়া ও লাউকাঠী নদীর নাব্যতা সঙ্কট সমাধানের পাশপাশি নদীর দুই পাড়ের দখল হওয়া জমি উদ্ধার করাও সহজ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী শহরের লাউকাঠী ব্রিজ এলাকা থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট, লঞ্চঘাট, পুরান বাজার হয়ে লোহালিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে ওঠা ডুবোচর চার ধাপে খনন করবে বিআইডব্লিউটিএ। এতে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ রুটের ডাবল ডেকার লঞ্চগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পটুয়াখালীতে নৌ পথে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। পাশপাশি নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বন্ধ হওয়ার পথে লোহালিয়া খেয়া পারাপারও সচল থাকবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলীরা।
এদিকে বিগত বছরগুলোতে ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এবার আর সেটি হবে না বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এজন্য চার সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আর এ কমিটি নিয়মিত রিপোর্ট দেবে।
পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মিত হওয়ায় পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নিয়মিত খনন ও নদী শাসনের প্রতি সরকারের আরও পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন জেলাবাসী।