বিপাকে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের মুজিবনগর এলাকার গ্রাহকরা

মেহেরপুর, দেশের খবর

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর | 2023-08-25 06:17:32

দরিদ্র কৃষকের স্ত্রী আকলিমা খাতুন। হাত খরচের টাকা বাঁচানো আর হাঁস-মুরগি বিক্রির টাকা জমিয়ে প্রতি মাসে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সে করা বিমাতে সঞ্চয় জমা দিতেন তিনি। স্বপ্ন ছিল ১০ বছর পরে বিমার মেয়াদ শেষে সঞ্চিত অর্থ স্বামীর ব্যবসায়ে পুঁজি হিসেবে খাটাবেন।

কিন্তু এখন তার সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ১০ বছর শেষে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি আকলিমার সঞ্চিত টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে। টাকা পেতে বিভিন্ন মহলে ধরনা দিচ্ছেন অসহায় আকলিমা খাতুন।

আকলিমা খাতুন মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের আসমান খাঁর স্ত্রী।

আকলিমা খাতুন বলেন, ‘প্রতিমাসে আমি ৫০ টাকা করে জমা দিয়েছি। ১০ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে দুই বছর আগেই। অফিসে হাঁটতে হাঁটতে হতাশ হয়ে পড়েছি। নতুন করে আরেকটি বিমা সঞ্চয় না খোলা পর্যন্ত টাকা দেবে না বলে তারা জানিয়েছেন।’

শুধু আকলিমা খাতুনই নয়, তার মতো অনেকেই এ বিমা কোম্পানির মেহেরপুরের মুজিবনগর কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত ধরনা দিচ্ছেন। তবে টাকা ফেরতের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক কথা বলছেন না বিমার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিমা একটি পরিচিত নাম। গ্রামের মানুষকে ১০ বছরে দ্বিগুণ অর্থ দেয়ার প্রলোভনে সঞ্চয় করাচ্ছে অনেক বিমা প্রতিষ্ঠান। তবে বিমার মেয়াদ পূর্তির পর অর্থ ফেরত পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব সহজ সরল মানুষের। ফলে বিমা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মুজিবনগর শাখার ম্যানেজার রাফিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দেননি তিনি।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি এখন যেহেতু জানতে পারলাম, তাই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর