টানা বর্ষণে বান্দরবানের ইসলামপুর, শেরেবাংলা নগরসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ছোট ছোট কয়েকটি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ইতোমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরাতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছাড়তে বসবাসকারীদের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত শনিবার (৬ জুলাই) থেকে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কয়েকদিনের চেয়ে সোমবার (৮ জুলাই) আরও বেড়েছে। রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টানা বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলা শহরের ইসলামপুর, শেরেবাংলা নগর, আর্মিপাড়াসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাইক্লোন সেন্টারে ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। হাফেজঘোনা সাইক্লোন সেন্টারসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে দুর্গতরা। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, অবিরাম বর্ষণে বন্যাসহ পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে দেড়শ জনের মতো লোক আশ্রয় নিয়েছে। ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্র অথবা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। সন্ধ্যার মধ্যে যারা ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে যাবে না, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।